Monday, 10 January 2022

চট্টগ্রামে সাইডার স্কুলে বাইরে শিক্ষার্থীদের টিকাদান শুরু | Kapasia News

চট্টগ্রামে সাইডার স্কুলে বাইরে শিক্ষার্থীদের টিকাদান শুরু | Kapasia News
Download
টিকা দেওয়া হচ্ছে আসকার দিঘিরপাড়ের রীমা কমিউনিটি সেন্টার, সিরাজদৌলা সড়কের হল সেভেন ইলেভেন ও আগ্রাবাদের আবদুল্লাহ কমিউনিটি সেন্টারে।চট্টগ্রামে স্কুলের বাইরে কমিউনিটি সেন্টারে শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়া শুরু করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ। আজ সোমবার সকাল নয়টা থেকে নগরের তিনটি কমিউনিটি সেন্টারে বিভিন্ন স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থীদের টিকাদান শুরু হয়েছে।প্রথম দিন স্কুলটির ৪০০ শিক্ষার্থীকে টিকা দেওয়া হবে। ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী এসব শিক্ষার্থীদের ফাইজারের প্রথম ডোজ টিকা দেওয়া হচ্ছে।সন্তানদের টিকা দিতে পেরে অভিভাবকেরাও সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন। সাইফুর রহমান নামের এক অভিভাবক বলেন, ‘এখন নতুন করে অমিক্রনের সংক্রমণ শুরু হয়েছে। তাই ছেলেকে টিকা দিতে পেরে ভালো লাগছে।’স্কুলটির অধ্যক্ষ জ্ঞানেশ চন্দ্র ত্রিপাটী বলেন, ‘সরকার ও স্বাস্থ্য বিভাগ আমাদের স্কুলে টিকাদানের ব্যবস্থা করায় ধন্যবাদ জানাচ্ছি। টিকায় আমাদের শিক্ষার্থীরা সুরক্ষিত থাকবে। দিকে মহানগরীতে টিকাদান কার্যক্রমের পরিসর বাড়ানোর চিন্তা করছে সিভিল সার্জন কার্যালয়। এজন্য দুটি কমিউনিটি সেন্টারকে টিকাদান কেন্দ্র করার সুপারিশ পাঠানো হয়েছে জেলা প্রশাসনের কাছে। ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত চট্টগ্রাম মহানগর মোট ৫২ হাজার ৭৯৬ জন শিক্ষার্থী করোনার টিকার প্রথম ডোজ পেয়েছে। এর মাঝে এইচএসসি পরীক্ষার্থী ১৫ হাজার ২৮৪ জন।সাইডার ইন্টারন্যাশনাল স্কুল নিজেরাই যোগাযোগ করে টিকাদানের এই উদ্যোগ নিয়েছে।’স্কুলটির অধ্যক্ষ জ্ঞানেশ চন্দ্র ত্রিপাটী বলেন, ‘সরকার ও স্বাস্থ্য বিভাগ আমাদের স্কুলে টিকাদানের ব্যবস্থা করায় ধন্যবাদ জানাচ্ছি। টিকায় আমাদের শিক্ষার্থীরা সুরক্ষিত থাকবে।’সাইডার ইন্টারন্যাশনাল স্কুল নিজেরাই যোগাযোগ করে টিকাদানের এই উদ্যোগ নিয়েছে। সরাইপাড়া বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র ইসমাইল হোসেন বলে, ‘টিকা নিতে এসেছি। এত দিন অপেক্ষায় ছিলাম, কখন টিকা নেব। আজ সেই আশা পূরণ হচ্ছে।এদিকে, সিভিল সার্জন মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী জানিয়েছেন, সাইডারের পর মাধ্যমিক শিক্ষা বিভাগ থেকে যদি অন্যান্য স্কুলের শিক্ষার্থীদের তালিকা দেয়, তাহলে তাদেরও টিকা দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হবে। কিন্তু এখনো তারা কোনো তালিকা দেয়নি।চট্টগ্রামে এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের টিকা প্রয়োগের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়। আর ১২-১৭ বছর বয়সি ৩৭ হাজার ৫১২ জন স্কুল-কলেজ শিক্ষার্থী প্রথম ডোজ নিয়েছে। প্রথম ডোজ গ্রহীতা শিক্ষার্থীদের এখন ধাপে ধাপে দ্বিতীয় ডোজ প্রয়োগ চলছে। চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী যুগান্তরকে জানান, শনিবার থেকে উপজেলা পর্যায়ে টিকাদান কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। শনিবার টিকা দেওয়া হবে সাতকানিয়া ও সীতাকুণ্ড উপজেলায়। রোববার থেকে অন্য উপজেলাগুলোতে। তবে সন্দ্বীপ উপজেলায় আরও পরে টিকাদান কার্যক্রম শুরু হবে। গত ১৬ নভেম্বর থেকে এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের এ টিকাদান শুরু হয়েছে। পরে ১২-১৭ বছরের শিক্ষার্থীদের করোনার টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয় গত ৯ ডিসেম্বর। এখন পর্যন্ত কেবল মহানগরের শিক্ষার্থীদের এ টিকা দেওয়া হয়েছে। তবে এবার চট্টগ্রামের উপজেলা পর্যায়েও শিক্ষার্থীদের করোনার টিকাদান শুরু হচ্ছে। আমাদের পর্যাপ্ত টিকা রয়েছে। টিকার কোনো ধরনের সংকট নেই।জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের কর্মকর্তারা জানান, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে টিকাদান কার্যক্রম নিখুঁত করতে মনিটরিং টিম গঠন করা হয়েছে। ৭ জনের একটি কমিটি করা হয়েছে। মনিটরিং টিমের সভাপতি হচ্ছেন সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী। ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. আসিফ খান সদস্য সচিব। আর সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার ডা. ওয়াজেদ চৌধুরী, এমও ডিসি ডা. নুরুল হায়দার, এস আই এমও ডা. এএফএম জাহিদুল ইসলাম, জেলা স্বাস্থ্য তত্ত্বাবধায়ক সুজন বড়ুয়া, জেলা ইপিআই সুপারিনটেনডেন্ট হামিদ আলী এ কমিটির সদস্য। মনিটরিংয়ের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের টিকাদান কার্যক্রম গতিশীল করতে এ কমিটি শিক্ষা বিভাগের সঙ্গে সমন্বয় করবে। উপজেলায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার, উপজেলা শিক্ষা অফিসার ও উপজেলা পরিবার-পরিকল্পনা কর্মকর্তা সমন্বয়ের মাধ্যমে উপজেলা পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের এ টিকাদান কার্যক্রম পরিচালনা করবেন। মহানগরের মতো উপজেলা পর্যায়েও শিক্ষার্থীদের ফাইজারের টিকা প্রয়োগ করা হবে।

No comments:

Post a Comment